মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর উপজেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় এর আয়োজনে
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের আয়োজনে দিনব্যাপি রেয়ালি দেয়ালিকা উদ্বোধন, ডকুমেন্টরি প্রদর্শন, পুস্তক পর্যালোচনা, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত, এরপর জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসেন রেজা ও ট্রেজারার, প্রফেসর ড. আহসানউল্লাহ হাবিব। রেয়ালি উদ্বোধন করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসেন রেজা। উদ্বোধন করে মাননীয় উপাচার্য বলেন,
আজকের এই রেয়ালি খাজা ইউনুস আলী শিক্ষা পরিবারের জন্য একটি সচেতনতা ও শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রেয়ালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন থেকে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ প্রদক্ষীণ করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফিরে আসে।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে দেয়ালিকা “চেতনা” উদ্বোধন করেন প্রফেসর ডাঃ মোঃ জুলফিকার আলী, সদস্য, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়।
গ্রন্থাগারের ঐতিহাসিক অভিযাত্রা নামে ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হয়. যেখানে গ্রন্থাগারের উৎপত্তির ইতিহাস ও কালের বির্বতনে এর পরিবর্তন ও সমৃদ্ধি উপস্থাপিত হয়। গ্রন্থাগার এক উন্মুক্ত বিশ্ব, যেখানে এক একটি বই একেকটি দিগন্ত কে উন্মোচন করে। আমাদের ভাবনার জগতকে প্রসারিত করে, চিন্তা শক্তিকে বিকশিত করে।
২০২৫— থিম এর উপর আলোচনা ড. মুহাম্মদ মেসবাহ্—উল—ইসলাম, প্রফেসর, আইএসএলএম, ঢাবি। তিনি গ্রন্থাগার নিয়ে আগামীর পথ চলা কেমন হবে তা ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আহসানউল্লাহ হাবিব, ট্রেজারার, খাইআবি। তিনি ”তালেব মাষ্টার” কবিতার কয়েকটি ছত্র আবৃত্তি করেন ও গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তার কথা উপস্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসান, পরিচালক, আইকিউএসি, খাইআবি। তিনি বলেন গবেষণা ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় সার্ভাইভ থাকতে পারে না। গ্রন্থাগার হচ্ছে তার একটি হাব। গ্রন্থাগারকে সত্যিকার অর্থে একটি রিসার্স হাব হিসাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। তিনি শিক্ষা ও গবেষণায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর মহানুভবতার কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর মাননীয় সদস্য প্রফেসর ডাঃ মোঃ জুলফিকার আলী বলেন শিক্ষার্থীদের ভালোবেসে লাইব্রেরীতে বই পড়ার প্রতি উদ্ভুদ্ধ ও লাইব্রেরির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। পরিশেষে তিনি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের সফলতা কামনা করেন।
এরপর গ্রন্থাগার ব্যবহারকারী ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ডাঃ মোঃ জুলফিকার আলী ও মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসেন রেজা।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন, অত্র অনুষ্ঠানের সভাপতি, মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসেন রেজা, তিনি বলেন, গ্রন্থাগারকে আরো শিক্ষা ও গবেষণা বান্ধব হতে হবে, যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে আকৃষ্ট করতে পারে এবং শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখতে পারে। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের সফলতা কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Leave a Reply