সোহাগ রানা
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা এলাকায় জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ একই পরিবারের চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন মোছা. আকলিমা খাতুন (৩৫), তার মামা তমিজ উদ্দিন, মামি মনোয়ারা এবং মামাতো ভাই সিরাজুল ইসলাম। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী আকলিমা খাতুন শ্রীপুর মডেল থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার স্বামী মো. সুমন মিয়াকে নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে গোদারচালা গ্রামে ১০৩৭ নম্বর হেবার দলিল অনুযায়ী ৭ শতাংশ জমিতে বসবাস করে আসছেন। জমিটি এস.এ ও আর.এস খতিয়ানভুক্ত বৈধ জমি বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২০ জুন রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রতিবেশী স্বপন মিয়া (৪০), মো. সুমন (৩৮), মোছা. শাকিল (৩২), মো. রিপন (৪৪) এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকলিমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র ও টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। এতে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আকলিমা ও তার স্বজনরা বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা লোহার রড, দা ও লাঠি দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আকলিমার ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় এবং অন্যদের শরীরে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং সেখান থেকে তমিজ উদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন ধরেই জমিটি দখল করে নিজেদের রাস্তা বানানোর চেষ্টায় ছিল। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানোর পরও বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি।
অভিযুক্ত স্বপন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষদের চলাচলের রাস্তা হঠাৎ করে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হলে আমরা বাধা দিই। তখন উল্টো আকলিমার লোকজন আমাদের মারধর করে। আত্মরক্ষার্থে আমি বাঁশ দিয়ে আকলিমাকে কয়েকটি আঘাত করি।”
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। একজন এসআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Leave a Reply