শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের আলোচিত ও বিতর্কিত হারুনর রশীদ ওরফে ‘কাইল্লা হারুন’কে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। তিনি বরমী ইউনিয়নের স্বৈর দোসর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং একাধিক মামলার পলাতক আসামি।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে বর্বর হামলার অন্যতম মূলহোতা ছিলেন এই কাইল্লা হারুন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলবল নিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিলেন। এছাড়াও গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় ছাত্রদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায়ও তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
শুধু আন্দোলনে হামলা নয়, কাইল্লা হারুনের বিরুদ্ধে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্ম চালানোর অভিযোগ। বিগত সময়ের স্বৈর শাসনের সুযোগ নিয়ে তিনি ৬ নম্বর বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর শুরু হয় তার দুঃশাসনের রাজত্ব—দুর্নীতির মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, অসহায়দের প্রাপ্য ত্রাণ লুট, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বরমী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিলেন এই কাইল্লা হারুন। তার প্রভাবে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাননি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ছিলেন পুলিশের নজরদারিতে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, ” বিশেষ অভিযানে সোমবার দিবাগত রাতে বরমী এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাইল্লা হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।”
এই গ্রেফতারের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকেই বলছেন, অপরাধীর শাস্তি হলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply