পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজারে মা বীজ ভান্ডার স্বত্বাধিকারী বিদ্যুৎ কুমার রায় অমলের বিরুদ্ধে নিম্নমানের বীজ উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে কৃষকদের আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
উচ্চ মূল্যে বীজ কিনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডিলার আমলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন কৃষক লাল মিয়া ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছেও তারা প্রতিকার ও শাস্তির দাবিতে অভিযোগ করেন।অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর নাম বিদ্যুৎ কুমার রায় (অমল) সে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বিএডিসির ডিলার। অভিযোগ উঠেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে বিএডিসির লাইসেন্স হাতিয়ে নেন। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকেই নিম্ন মানের বীজ কিনে কৃষকদের সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা।
এছাড়াও অমল অনুমোদন বিহীন ভাবে সারের ব্যবসাও করে আসছেন। অবৈধ ভাবে সার মজুদ করে বেশি দামে বিক্রি করারও অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। গত বছরের (২৯ নভেম্বর) উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তুরাব হোসেন তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর অধীনে ৫০ হাজার টাকাও জরিমানা করা হয়।
চলতি মৌসুমে ডিলার অমল নিম্নমানের পিয়াজের বীজের ব্যবসা করেও হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এনিয়ে দেবীগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার লাল মিয়া নামের এক কৃষক দেবীগঞ্জ থানায় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন। জানা যায়, ডিলার অমলের কাছ থেকে কৃষক লাল মিয়া ৩ হাজার আট শত টাকা কেজি মূল্যে ৩০ কেজি নাজীর বীজ ভান্ডার বীজ কিনে নেন। সে বীজগুলো স্থানীয় কৃষক ও লাল মিয়া নিজে রোপন করেন। নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা বীজ দিয়ে পিয়াজ রোপন করার পর কৃষকরা বুঝতে পারে অমল নিম্নমানের পিয়াজের বীজ দিয়েছে। এ মৌসুমে কৃষকের পিয়াজের আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। পিয়াজ চাষীদের আবাদ নষ্ট হওয়ায় সব খরচ মিলে কৃষকদের প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।
এবিষয়ে জানতে বিএডিসির ডিলার বিদ্যুৎ কুমার রায় অমল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন আমি তার কাছে পিয়াজের বীজ বিক্রি করিনি। আমিও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষিবিদ কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ জানান, কৃষকের অভিযোগ হাতে পেয়েছি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, প্রতারণার ঘটনায় আদালতে মামলা করতে হয়। এরপরও যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি প্রাথমিক ভাবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা যায় কিনা দেখবো।
Leave a Reply