আশরাফুল আলম সরকার
শ্রীপুর (গাজীপুর)
ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ড্রীম স্কয়ার রিসোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও রুম টু রিড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে পঠন দক্ষতা ও পাঠাভ্যাস উন্নয়নে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস শীর্ষক দুই দিনব্যাপী রিডিং কনফারেন্সে
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে গতকাল (রোববার)। পর্যন্ত খবর হলো, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত বইগুলো ৮৫ ভাগের উপরে মাঠে চলে গেছে। আর আমাদের ৪/৫ ক্লাসের বই সেখানে আমরা পিছিয়ে ছিলাম সেক্ষেত্রেও ৮৪ ভাগ বই মাঠে চলে গেছে। গতকালকে আমি রিপোর্ট শেয়েছি। আশা করি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রাইমারির বইগুলো পেয়ে যাবে। প্রাইমারিতে শিক্ষার মান উন্নায়নে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একজন জন মানুষ তার বাচ্চাকে কোথায় গড়াবে সেটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। সুতরাং কেউ যদি মনে করে কিন্ডারগার্টেনে গেলে বাচ্চার ভাল পড়াশোনা হবে সেটা তার ন্যাপার। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দুইটা। প্রথমত হচ্ছে প্রাইমারি শিক্ষার মান যাতে বাড়ে আমরা সেই চেষ্টা করছি এবং যেসব জায়গাতে প্রাইমারি স্কুল ভাল চলে সেখানে কিন্তু লোকজন প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্যই ভিড় করে। দুই নাম্বার হচ্ছে আমরা দেখনো যেসব কিন্ডারগার্টেনগুলো চলে তারা যেন আমাদের জাতীয় যেটা কারিকুলাম রয়েছে প্রাইমারি স্কুলে পড়ানোর জন্য সেগুলো তারা ফলো করে। কারণ আমরা তাদের প্রাথমিক স্কুলের বইগুলো বিনামূল্যে দেই। ফলে তারা যেন এগুলো ফলো করে সেটা দেখব। পড়াশুনা যাতে ঠিকমতো হয় সরকারি ভুলগুলোতে পড়াশোনা দেখার দায়িত্ব আমাদের সেরকম বেসরকারি স্কুলে পড়াশুনার দেখার দায়িত্বও আমাদের। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিমের সভাপতিত্বে রিডিং
কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৩) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হোসনে আরা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাউল গণি, জম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার প্রমুখ।
Leave a Reply