মোঃ কামাল উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়।
২৩ শে ডিসেম্বর জর্জ কোর্ট পঞ্চগড়ে , জেলা লিগাল এইড অফিসার , সিনিয়র সহকারী জজ লিমেণ্ট রায় এর পক্ষে প্রেস রিলিজ পাঠ করে মোঃ সাইফুল ইসলাম, নাজির ,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পঞ্চগড়।
গত ২০শে ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ এ, অনুষ্ঠিত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত , পঞ্চগড় এর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের দুইদিন ব্যাপী নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যার প্রেক্ষিতে কিছু অনলাইন মিডিয়ায় যেভাবে এসেছে তা বাস্তব ঘটনার সাথে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে ।
গত ১০শে ডিসেম্বর এই আদালতের নেজারত বিভাগ হতে গত ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করার জন্য অধ্যক্ষ বরাবর অনুরোধসহ আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র প্রেরণ করা হয় । পরবর্তীতে পঞ্চগড়ের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট , মেহেদী হাসান মন্ডল , অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে ।
১৫ই ডিসেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আশরাফুজ্জামান সরেজমিনে সেই কলেজে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করে একাডেমিক কাম এক্সমিনেশন ভবন ও একাডেমিক পুরাতন ভবন কলা এই দুইটি বিল্ডিং এ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একজন সরকারী জজ ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিছু কর্মচারী সহ সেই কলেজে গিয়ে আসন বিন্যাস সহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্ৰহন করে আসেন ।
গত ২০শে ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে যানা যায় যে পাঁচ তালা বিল্ডিং এর পঞ্চম তালায় ৫০৪ ও ৫০৫ নং কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে । তাৎক্ষণিক অধ্যক্ষকে অবহিত করলে সে জানান যে ঐ দুই কক্ষের চাবি যার কাছে আছে সে ছুটিতে এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ । অধ্যক্ষ তালা দুটি ভাঙ্গার নির্দেশ দিলেও কলেজের কোন স্টাফ সে ব্যাপারে সহযোগিতা করে নাই ।
পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে দুইটি কক্ষ ব্যতীত বাকি ১২ টি কক্ষে পরীক্ষা শুরু হয় । অন্যদিকে দুই কক্ষের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করলে , বহিরাগত কিছু লোক একজোট হয়ে পরীক্ষার দিন কেন্দ্রে প্রবেশ করে এবং প্রশ্ন ফাঁস ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ করে আন্দোলন করে এবং প্রশ্ন পত্র ছিঁড়ে ফেলে । পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষা বানচাল করার জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী নয় এমন একটা প্রতিনিধি দল নিয়োগ কমিটির নিকটে এসে আটটি দাবি পেশ করে ।
এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না থাকায় সিজেএম নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরীক্ষার সকল কার্যক্রম স্থগিত করে এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সেই বিজ্ঞপ্তি ওয়য়েবসাইটে প্রকাশ করে।
এছাড়াও কেন সেদিন উক্ত কক্ষ দুটি তালাবদ্ধ ছিল সেই বিষয়ে মকবুলার রহমান কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে ।
Leave a Reply