মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
শিক্ষার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছে ব্যবসা, দশম শ্রেণির টেষ্ট পরীক্ষার পর অনেক শিক্ষার্থী কে ফেল করিয়ে টাকা আদায় করছে বলে দাবি করছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। টাকা না দিলে দিতে পারবে না এসএসসি সমমান পরীক্ষা।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলে আমরা অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছি, কিন্তু আমাদের পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম দিয়েছে, আমরা ২বছর একই বই পড়ে আসছি আমাদের ফেল করার কথা না কিন্তু আমাদের জেনে বুঝে ফেল করানো হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথা বলে জানা যায় ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীরা প্রায় ১০০ ভাগের ৭৫ ভাগেই পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম পেয়েছে বলে জানা যায়। তেলিহাটি ইউনিয়ন, বরমী ইউনিয়ন, কাওরাইদ ইউনিয়ন, কাপাসিয়া ইউনিয়ন,রাজাবাড়ি ইউনিয়ন,গাজীপুর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই অবস্থা, শিক্ষার হার বাড়বে বলে দাবি করেন অনেকই।
আবার অনেক গুন গুন করছে বিদ্যালয়ের চলছে শিক্ষার নামে কশাইগিরি। গত তিন বছরের রেকর্ড এবার ভেঙ্গেছে এই ২০২৫ সালের এসএসসি শিক্ষাথীরা। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এই ২০২৫ এসএসসি পরীক্ষার ৭৫% ফেল করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি রেজিষ্ট্রেশন করাতে প্রতি সাবজেক্টে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। অনেক শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ২ টি সাবজেক্ট এবং সর্বচ্ছ ৮টি সাবজেক্টে ফেল করেছে বলে জানা যায়।
অনেক শিক্ষার্থী পরিবার তাদের সন্তান কে এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করাতে বিভিন্ন ঝড় ঝাপটা পোহাতে হয়েছে। গত ৪ বছরে এত পরিমাণ টাকা কখন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নেওয়া হয়নি।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কথা বলে জানা যায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিন কমিটির সভাপতি সদস্য এবং দাতা সদস্যরা এরকম নিয়ম করেছে বলে জানা যায়। ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোচিং সেন্টার চালু করেছে।
Leave a Reply