মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (নিজস্ব প্রতিবেদক):
ভালুকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চক্রবিধি সুদ খোর গ্যাস লাইনের মোতুর পুত কাইল্লা জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ সরকার এর ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদ, বাড়ি গাড়ি সহ কোটি টাকার মালিক বলে জানা গেছেন।
জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে আলম বিএনপির মিটিং মিছিলে প্রকাশ্যে পিস্তল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা করতো। আলম তার ছাত্র জীবনে অর্থ সংকট ও পারিবারিক অস্বচ্ছতার কারনে ক্লাস নাইম পর্যন্ত পড়াশোনা করে জীবিকার জন্য একটি মাছের খামারে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর রাতারাতি চাঁদাবাজি, লুটপাট, জমি দখল সহ এলাকায় মাদক ব্যবসা ও একাধিক সুদের সমিতির নামে নিরিহ মানুষকে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা হাতিে নিতেন! তার সুদ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে একাধিক টর্চার সেল গোপন নির্যাতন ঘর ছিলো যাতে সুদের টাকার জন্য যারা ব্ল্যাইক চেক, স্বর্ণ অলংকার, জমির দলিল বন্ধক রেখে টাকা নিতো তাদের টাকা দিতে একটু দেরি হলেই সব কিছু বাজেয়াপ্ত করে এদের গোপন ঘরে আটকিয়ে চলতো নির্যাতন…!! আলম একাধিক বার মাদক ব্যবসার জন্য ডিবি পুলিশ ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
বিএনপির কোন নেতার খুটির জোরে এই চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী আলম গত ৫ আগষ্ট শৈরাচার হাসিনার পতনের পরও ভালুকায় বাজার মৎস্য আড়ৎ এ একাধিক বিট তার দখলে রেখেছেন, এছাড়াও মুরগির লিটারের ৩ টি সেট, বাস-টার্মিনাল এ ২ টি সুদের সমিতি ও গফরগাঁও রোডে কয়েক একর সম্পত্তি দখলে রেখেছেন তা জানতে চায় ভুক্তভোগী জন-সাধারণ,
ভালুকা পৌরসভার গ্যাস অফিস মোড়ে বিগত হাসিনা সরকারের আমলে দুনীতিবাজ, লুটপাটকারী, ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ করে যারা অবৈধ সম্পদ ও বাড়ি গাড়ি ও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তারাই নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ে বেগমপাড়া গড়ে তুলেছে! এদের সকলের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছেন, সাইদুল কমিশনার ও তার ভাতিজা ছাত্রদল নেতা সোহেল শেখ,যুবদল নেতা জামাল মিয়া ও কৃষক দলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম তারু।
গফরগাও রোডের বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারণ জনগণের জোর দাবি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম সহ গ্যাস লাইন মহল্লায় নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয় থাকা শৈরাচারের দোসরদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করে বিচারের আওতায় আনা হোক। এবং এদের অবৈধ সম্পদ, টাকা পয়সা বাজেয়াপ্ত করা হোক।
Leave a Reply