শ্রীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের রোকসানার মেয়ে সুমাইয়া কে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার নিজের ফুফু সেলিনার উপরে।
গর্ভজাত মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১২) বিভিন্ন সময়ে মোছাঃ সেলিনা ও মোঃ শাহিন বরমী ঠিকানার বাড়িতে বেড়াইতে যায় এবং আমার বাড়িতে ফিরে আসে। গত ০৮/০৩/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে সেলিনা ও শাহিনের এ/পি ঠিকানার বাড়িতে বেড়াইতে যায়।
গত ইং ১২/০৩/২০২৫ তারিখ রাত্র ৭:৩০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা একজন মহিলার নিকট হইতে মোবাইল নাম্বার-০১৭৬৬৫৮২৪৭০ নিয়া আমার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার- ০১৭২৭৯৪৪২৯১ তে আমার মেয়ে ফোন করিয়া বলে ৩নং বিবাদীর কুপরামর্শে ও প্ররোচনায় সেলিনা ও শাহিন আমার মেয়েকে বিক্রয় করিয়া ফেলে। আমার মেয়ের নিকট ঠিকানা বলতে বলিলে সে বলে ১৩ নাম্বারে আছে, আর কিছু বলে না।
রোকসানা সংবাদকর্মী কে জানায় আমার মেয়ের ফোন পাইয়া রাত্র ৭:৩৯ ঘটিকার সময় সেলিনার মোবাইল নাম্বার-০১৭৫৩০৯৭২৭০ তে ফোন করিলে শাহিন ফোন রিসিভ করে। ঐ সময় শাহিনের নিকট বলি আমার মেয়ের সাথে কথা বলাইয়া দিতে। তখন শাহিন আমাকে বলে আমার মেয়ে গত ১০/০৩/২০২৫ইং তারিখে তাদের এ/পি ঠিকানার বাড়ি হইতে চলিয়া যায়।কিন্তু বিবাদীগণ আমাকে গত ০২ দিন যাবৎ আমার মেয়ের কোন সন্ধান না দিয়া গোপন করিয়া রাখে।
আমার বিশ্বাস সেলিনা ও শাহিন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্য যেকোন জায়গায় বিক্রি করিয়া ফেলে।সেলিনা এবং শাহিন দ্বারা আমার মেয়ের যে কোন ধরনের ক্ষতির আশংকা রহিয়াছে।সেলিনা ও শাহিনের নিকট হইতে আমার মেয়ের কোন ঠিকানা বা সন্ধান পাওয়া যায় নাই। যার কারণে আমার মেয়েকে উদ্ধার করিতে পারি নাই।
আমার ননাশ সেলিনার এবং তার স্বামী শাহিনের নিকট হইতে আমার মেয়েকে উদ্ধার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করেছিলাম,কিন্তু কোন সুরহা মিলেনি।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানায় আমরা অভিযোগ পেয়েছি আমরা খুব দ্রুত উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
Leave a Reply