মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ১২/০২/২০২৫ ইং
আঁখি খাতুন একজন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবল ডিফেন্ডার। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় আন্ডার-১৫ ফুটবল দলের জন্য খেলেছেন। আলোচিত এই নারী ফুটবল খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখতে ৪ বছর আগে চীন থেকে দেশে ফিরেছিলেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ শরিফুল ইসলাম টিংকু। খেলা দেখতে এসে মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালোলাগা থেকে শুরু হয় দু’জনের প্রেম। অবশেষে প্রিয় মানুষকে জীবন সঙ্গী করতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন খেলোয়াড় আঁখি খাতুন। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন আঁখির বাবা আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দু’জনের পছন্দের পরই গত শুক্রবার দুই পরিবারের সম্মতিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের পিত্রালয়ে বিয়ের শুভ কাজ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে আঁখি ও তার স্বামী শাহজাদপুরে আমার বাড়িতে অবস্থান করেছে। বর ও কনেকে এক নজর দেখতে আঁখি খাতুনের বাড়িতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা আক্তার হোসেন আরও বলেন, আগামী ১১ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি তারা দু’জন ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে চীনে যাওয়ার কথা আছে। দাম্পত্য জীবনে সুখ শান্তির জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই। জানা যায়, আঁখির স্বামী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম টিংকু বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত। আর আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে। আঁখি খাতুন ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের দলে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভুটানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে তিনি দু’টি গোল করেন এবং টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ অবদানের জন্য সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দু’জনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে ৪ বছর পর বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন তারা। এর আগে, ২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতা কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন আঁখি। এরপর আর বাফুফে মুখো হননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার।বিয়ে প্রসঙ্গে আঁখি খাতুন বলেন, আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিলেন টিংকু। এতই ভক্ত যে চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর দিন দিন ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম। পছন্দের মানুষকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি, এটাই শুকরিয়া। তবে বিয়ের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে যান তিনি।
Leave a Reply