1. asrafulalamsorkar@gmail.com : asrafulal amsorkar : asrafulal amsorkar
  2. admin@dainiksomoybela.com : somoy312admin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বিএসএফ এর পুশইন। উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সফলতা লাভে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হলেন আব্দুল ওহাব ও আজাদ হোসেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার, স্ত্রী আটক স্বামী পলাতক তুরাগে সরকারি খাল দখল করে ১০ তলা ভবন নির্মাণ লোহাগড়ায় মিলল অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ মাদক মামলায় ০৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ০১ জন আসামী গ্রেফতার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কালিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার ‎আব্দুল হালিম কে বাঁচাতে স্ত্রী দিতে চান কিডনি কিন্তু নেই প্রতিস্থাপনের কোনো অর্থ

কাওরাইদে মাদকের রমরমা বানিজ্য অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

শ্রীপুর প্রতিনিধি
:গাজীপুরের জেলার শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কাওরাইদের রেললাইনে মাদকের হাট নতুন নয়। এখানে প্রকাশ্যে বিক্রি হয় মাদক। সন্ধ্যা নামলেই জমজমাট হয় এই বাজার। নারী-পুরুষের পাশাপাশি যুক্ত থাকে অল্প বয়সী শিশু কিশোররাও। আবার কেউ কেউ থাকেন পাগলের ছদ্মবেশে। তাদের অনেকের হাতে থাকে কাপড়ের ব্যাগ। তাতে রাখেন কাগজে মোড়ানো গাঁজার পুঁটলি। ক্রেতারাও ভাসমান এসব বিক্রেতার কাছ থেকে মাদক কিনে দ্রুত সটকে পড়েন। জানা যায়, দিনে মাদক কেনা-বেচা শুরু হলেও সন্ধ্যা নামলে আরও বেড়ে যায় মাদক কারবারীদের দৌরাত্ম্য। প্রকাশ্যে চলে মাদকের জমজমাট এই বাজার। পুলিশের সোর্স মারফত অন্য কোন মাধ্যমে খবর পেলেই সটকে পড়েন মাদকব্যাবসায়ীরা।
সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চললেও এখানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক। পুলিশের গাড়ি সাইরেন বাজিয়ে মূল সড়ক দিয়ে যায়। কাওরাইদ বাজার রেললাইন, নিধুর মাঠ,কালিবাড়ি,মড়ল পারা, দাইপাড়া,মৃধাপাড়া, হিলুপাড়া,বৈরাগবাড়ী, নান্দিয়া সাঙ্গুন ঘুরে ঘুরে দেখা যায়, মাদক ব্যাবসার রমরমা বানিজ্যের কারবার। ঠিক সন্ধ্যায় কালিবাড়ির আলমের বাড়ির মুখে দাঁড়িয়ে এক নারী। তার মতো একটু দূরে দূরে দাঁড়িয়ে আছেন আরও ৯-১০ জন। ওই পথ দিয়ে হেঁটে যেতেই নারী বললেন, ওই কয়ডা লাগবে? কয় টাকার? দেখা গেল, বিক্রেতাদের হাঁকডাকের মধ্যে মাদক কিনে দ্রুত সরে যাচ্ছে ক্রেতারা। কেউ পায়ে হেঁটে আসেন, কেউ মোটর সাইকেলে আবার কেউ প্রাইভেটকারে আবার কেউ হোন্ডা থেকে নেমে গাঁজা রাখা পুরো ব্যাগটি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মাদকসেবীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কাছ থেকে ধনী-গরিব সবাই মাদক ক্রয় করে। সন্ধ্যার পরে বেশি লোক আসে। ৫০-১০০ টাকার পুঁটলা বিক্রি হয়। আবার কেউ কেউ বেশি টাকায় ক্রয় করে।আবার কেও ইয়াবা কিনতে আসে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মাদকসেবী বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আমরা এখানে ঘোরাঘুরি করি। আমাদের কাজই এটা। এগুলো পুঁটলা হিসেবে বিক্রি হয়। এক পোঁটলা ১০০ টাকা। আবার ৫০ টাকারও আছে ইয়াবাও। এখানে পুরুষ-মহিলা অনেকেই এগুলো বিক্রি করে। প্রতি প্যাকেটে আড়াইশ’ টাকা লাভ হয়। এদিকে একশ’ গ্রাম পাঁচ-ছয় হাজার টাকা দাম। ওই ১০০ গ্রামে দশ হাজার টাকা পাবেন। পাঁচ হাজারে পাঁচ হাজার টাকাই লাভ। তিনি বলেন, অনেকে এখান থেকে নিয়ে এলাকায় বিক্রি করে। এখানে রাত দশটা-এগারোটা পর্যন্ত বেচাকেনা হয় জমজমাট। গাঁজা সবাই খায়। সব ভালো ভালো লোকে কিনে নিচ্ছে এগুলো। এই ব্যবসায় কোনো লস হয় না। এটা তো কাঁচামালের ব্যবসা। গাঁজা বিক্রি করার টাকায় সংসার চালাই। সীমন্তবর্তী এলাকা থেকে এই মাদকগুলো আসে। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের লোক এসে দিয়ে যায়।রেললাইন ধরে আরেকটু সামনের দিকে গেলেই বাচ্চা কোলে অল্প বয়সের কিশোর আসেন। তার হাতে কাপড়ের একটি লাল ব্যাগে গাঁজার ছোট ছোট পুঁটলা রাখা। কাছে আসতেই ওই কিশোর বলেন, একশ’ করে। কয়টা লাগবো আপনার? এখানে কোনো ঝামেলা নেই, কয়ডা নিবেন? অনেকদিন ধরে আছি এই ব্যবসায়। কেউ কিছু কইতে পারবো না। অল্প বয়সী আরেক বিক্রেতা রেললাইনের পাশে লাল ব্যাগ হাতে নিয়ে বসে আছেন। লোকজন দেখলেই তাকে ডাকতে দেখা যায় ‘একশ’ একশ’।রেললাইনের পাশে রিকশা থামিয়ে তার উপরে বসে আছেন মিলন নামে এক চালক। তিনি বলেন, সারা দিনে অনেক পরিশ্রম করি। পরিবারের সবাই গ্রামে থাকে। রাতে দুই একটা সিগারেটে ভরে অল্প শুঁকনা খাই। শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আফজাল হোসেন মন্ডল বলেন স্বৈরাচার সরকার পতনের প্রশাসনের নীরব ভূমিকা থাকায় বেড়েছে মাদক বানিজ্য যৌথবাহিনির বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কাওরাইদ থেকে মাদক নির্মূল করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাবুদ্দিন বলেন,
অনেকেই আড়ালে থেকে মাদক ব্যাবসায়ীদেরকে শেল্টার দেয় তাদের কে চিন্হিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাফর আহমেদ বলেন, কাওরাইদে মাদক দিনদিন বাড়ার কারনে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে।এদের প্রতিহত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।কাওরাইদ ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রনেতা শেখ সোহেল বলেন,মাদক ব্যাবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া অতীব জরুরী।
ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রিয়াদ মন্ডল বলেন,মাদকের ভয়ালথাবা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসনকে বিনীত অনুরোধ করছি।স্থানীয়রা জানান কাওরাইদ বেলদিয়া এলাকার চিন্হিত মাদকব্যাবসায়ী সেলিম, কালিবাড়ির মাদক সম্রাজী নূরজাহান, আশরাফুল,কাওরাইদ মধ্যে পাড়া এলাকার হিমুর মা নামে পরিচিত, কাওরাইদ মরল পাড়া এলাকার আছমত বাজারের সোহাগ পিছিয়ে নেই মাদক ব্যাবসায় জানা গেছে এদের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং একাধিক বার মাদক সহ গ্রেফতার হয়েছে। অনুসন্ধান বলছে এসব মাদক কারবার করে অনেকেই হয়েছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। অনেকের রয়েছে মাদক ব্যাবসার কালো টাকার পাহাড়।কথিত কাওরাইদ মড়ল পাড়া এলাকার সামান্য সিএনজি ড্রাইভার আছমত মাদক ব্যাবসা করে রাতারাতি অসংখ্য সিএনজি বাড়ি কাচা টাকার মালিক।কাওরাইদের আরেক মাদক ব্যাবসায়ী সোহাগের রয়েছে একটি বিলাসবহুল রেষ্টুরেন্টে।
এদের মধ্যে অনেকে টাকার মালিক হলেও থাকেন গরীবী হালে।এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন মন্ডল বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে,আমার এরিয়াতে কোন মাদক থাকবেনা,প্রতিনিয়ত মাদকব্যাবসায়ীদের নামে মামলা হচ্ছে, কাওরাইদের এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
Powered by: Nfly IT