1. asrafulalamsorkar@gmail.com : asrafulal amsorkar : asrafulal amsorkar
  2. admin@dainiksomoybela.com : somoy312admin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বিএসএফ এর পুশইন। উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সফলতা লাভে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হলেন আব্দুল ওহাব ও আজাদ হোসেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার, স্ত্রী আটক স্বামী পলাতক তুরাগে সরকারি খাল দখল করে ১০ তলা ভবন নির্মাণ লোহাগড়ায় মিলল অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ মাদক মামলায় ০৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ০১ জন আসামী গ্রেফতার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কালিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার ‎আব্দুল হালিম কে বাঁচাতে স্ত্রী দিতে চান কিডনি কিন্তু নেই প্রতিস্থাপনের কোনো অর্থ

দেবীগঞ্জ প্রাণীসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে প্রশিক্ষনের নামে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

লালন সরকার

দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি :

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে প্রানী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পিজি ও নন পিজি খামারীদের বিসনেস প্লান প্রিপারেশন শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষনের নামে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২ দিনের প্রশিক্ষনে ৪শ ৮০ জন খামারীরা প্রশিক্ষন নেন। এতে বরাদ্দ দেয়া হয় ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার দেওয়া তথ্য মতে জানা যায় ১০ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ০৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত, ৪শ ৮০ জন প্রশিক্ষনার্থী প্রশিক্ষন নেন। ৪শ ৮০ জন প্রশিক্ষনার্থীকে ১২ টি ব্যাচে ভাগ করে প্রশিক্ষন দেয়া হয়। দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রানীসম্পদ দপ্তরে এ প্রশিক্ষন দেয়া হয়। ৪শ ৮০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের প্রতিদিনের জন্য যাতায়াতের বরাদ্দ ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে খাবার ব্যয় করা হয় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা ।সেখানে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা প্রশিক্ষনার্থীদের কম দিয়ে সে টাকা আত্বসাত করেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা। তবে অনেক খামারি জানান তাদেরকে দুপুরের বরাদ্দকৃত খাবার সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। এবং অনেক পিজি নন পিজি দুপুরে খাবার পায়নি বলে জানাগেছে। আবার ৪শ ৮০ জন প্রশিক্ষনার্থীদের জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তা দেয়া হয় নিম্ন মানের। সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের জন্য খরচ করা হয়েছে জনপ্রতি প্রায় ২৫০ টাকা করে। সেখানে আত্বসাত করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। প্রশিক্ষন সামগ্রীর মধ্যে ব্যাগ, নোটপ্যাড, কলম, হ্যান্ড আউট বাবদ প্রশিক্ষনার্থী প্রতি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭শ টাকা করে। প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষন সামগ্রীর মধ্যে দেয়া হয়েছে ২-৩শ টাকার মধ্যে। প্রশিক্ষনে যে সব হোটেল কনফেকশনারি আর ষ্টেশনারীর দোকান থেকে প্রশিক্ষন সামগ্রী ক্রয় করেছেন সে সব দোকান থেকে নিয়েছেন ফাঁকা ভাউচার। প্রতি খরচের ফাঁকা ভাউচার নিয়ে তাদের বরাদ্দ অনুয়ায়ী খরচের পরিমানটা বসিয়ে দেন।
অন্যদের মধ্যে ফেসিলিটেশন ফি প্রতি ব্যাচে ২০ হাজার টাকা করে খরচ দেখানো হয়েছে। ১২ টি ব্যাচে মোট খরচ দেখানো হয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। সাপোর্ট স্টাফ ২ জনের ১ হাজার করে ১২ টি ব্যাচের ২৪ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। ২ দিনের প্রশিক্ষনে মোট বরাদ্দের খরচ দেখানো হয়েছে ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। প্রশিক্ষনার্থী মোছা: সাবিনা আক্তার, মনোয়ার হোসেন, মোছাঃ লাভলি বেগম, মাজেদুল ইসলাম,সহ দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায় তারা বলেন, আমাদের যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সঠিক ব্যবহার হয়নি। যাতায়াতের টাকা কম দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষন সামগ্রীর জন্য ৭শ টাকা বরাদ্দ থাকলও দেয়া হয়েছে ২-৩শ টাকার সামগ্রী। আরও প্রশিক্ষনার্থীরা জানান, ২ দিনের প্রশিক্ষনে যে টাকা বরাদ্দ এসেছে তার অর্থেক টাকা খরচ করে বাকি টাকা আত্বসাত করা হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা বাবুল হোসেন স্বাক্ষরিত কাগজে প্রশিক্ষনার্থীদের তালিকা দেয়া হয়েছে। তাতে দেখা যায়, প্রানী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পিজি ও নন পিজি খামারীদের বিসনেস প্লান প্রিপারেশন শীর্ষক ২ দিনের প্রশিক্ষনে ৪শ ৮০ জন খামারীদের বরাদ্দ খাতওয়ারি ব্যয় করা করা হয়েছে ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সারাবান তাহুরা জানান, যে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী আমি খরচ করেছি আর সেটাই ঠিক। আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি না।

প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ এলডিডিপির কর্মকর্তা ডাক্তার নেওয়াজ শরীফ বলেন আমি প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছি আমাকে দুই দিনে ৪০ হাজার টাকার মত ভাতা দিয়েছে আমি শুধু এটাই জানি আর কিছু বলতে পারছি না। তবে সবকিছুর উত্তর দিবে আপনাদের প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সারাবন তহুরা ।

খাবার হোটেল মালিকের সঙ্গে কথা হলে খাবার হোটেল মালিক জানান প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমার কাছ থেকে ৪৮০ টি খাবার প্যাকেট কিনেছেন প্রতিটি প্যাকেটের মূল্য ধরা হয়েছে ২১০ টাকা। যা সর্বমোট মূল্য দাঁড়ায় ১ লক্ষ্য ৮ শত টাকা।

পঞ্চগড় জেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বাবুল হোসেন জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার সারাবান তহুরা ,পিজি নন পিজিদের কত টাকার ব্যাগ প্রশিক্ষণ সামগ্রী দিয়েছে তা আমি জানিনা কিন্তু প্রতিটি পিজি নন পিজিদের জন্য ব্যাগ ও আনুষঙ্গিক খরচার জন্য এক হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024
Powered by: Nfly IT