ক্রিয়া ডেক্স:
বেঙ্গালুরু টেস্টে হারার পর পুনেতেও বাজে অবস্থার মধ্যে রয়েছে স্বাগতিক ভারত। নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে ঘরের মাঠে এক যুগ পর সিরিজ হারের শঙ্কায় রোহিত শর্মা শিবির।
প্রথম ইনিংসে স্যান্টারের স্পিন ঘূর্ণিতে ভারত গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫৬ রানে। ১০৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে ১৯৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। কিউইরা এখন এগিয়ে আছে ৩০১ রানে।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৫৯। ১ উইকেটে ১৬ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ভারত। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে পড়ে স্বাগতিকদের ইনিংস। কিউই স্পিনার স্যান্টনার একাই তুলে নেন সাত উইকেট। ভারত অল আউট ১৫৬ রানে। টেস্টের প্রথম দিন ভারতের ওয়াশিংটন সুন্দর ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৫৯ রানে। স্যান্টনার ৭টি নেন ৫৩ রানে। টেস্টে তো বটেই, দুজনেরই প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং এটি।
৪৭ ইনিংসে স্যান্টনারের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ৩৪ রানে ৩ উইকেট। ইনিংসে ৩ উইকেট নিতে পেরেছিলেন আরও ৬ বার। এর বেশি কখনও আর যেতে পারেননি। ২৮ টেস্টে সব মিলিয়ে উইকেট ছিল ৫৪টি। সেখানে পুনেতে রীতিমতো ঝলসে উঠেছেন স্যান্টনার।
পুনে টেস্টে স্যান্টনারের একাদশে জায়গা মেলে ম্যাট হেনরির খানিকটা চোট থাকায়। উইকেটের অবস্থা বুঝে কৌশলগত কারণেও তাকে একাদশে রাখার বিবেচনা হয়তো ছিল। সব মিলিয়ে সুযোগটা তিনি পেলেন এবং কাজে লাগালেন দারুণভাবে।
শুবমান গিলকে (৩০) ফিরিয়ে শুরু করেন স্যান্টনার। এরপর বোল্ড করেন বিরাট কোহলিকে (১)। দুই বাঁহাতি জয়সওয়াল ও রিশভ পন্তকে আউট করেন অফ স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। এরপর বাকিটা স্যান্টনারের গল্প। একে একে সারফারাজ (১১), অশ্বিন (৪) ও জাদেজাকে (৩৮)। পরে লেজের সারির দুই ব্যাটার আকাশ ও বুমরাহকে ফিরিয়ে সাত উইকেট পূর্ণ করেন স্যান্টনার। গ্লেন ফিলিপস দুটি ও টিম সাউদি নেন একটি উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি বিপদে পড়েনি নিউজিল্যান্ড। ওপেনার ডেভন কনওয়ে (১৭) দ্রুত বিদায় নিলেও ৮৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন অধিনায়ক টম লাথাম। ১৩৩ বলের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি হাকান তিনি। উইল ইয়ং ২৩, রাচিন ৯, ড্যারেল মিচেল ১৮ রান করেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ক্রিজে অপরাজিত আছেন টম ব্লান্ডেল (৩০) ও গ্লেন ফিলিপস (৯)। বল হাতে ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বাকি একটি নেন অশ্বিন।
সম্পাদক ও প্রকাশক:মোঃ খলিলুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
Copyright © 2025 দৈনিক সময়বেলা. All rights reserved.