মোঃ মুনাইম হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধ,
চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ইম্প্যাক্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মণ্ডল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের ঘোষক মেহেদী হাসান। সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় ৫ হাজার নারী। দেশে নারীদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যানসার এটি। এইচপিভি জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ বছর। আক্রান্ত রোগীদের প্রায় সবাই শনাক্ত হন একদম শেষ সময়ে গিয়ে। তখন আর সেরে ওঠার উপায় থাকে না। কিন্তু, কিশোরী বয়সে মাত্র একটি টিকা নিয়ে সারা জীবনের জন্য এই ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।আলোচনা সভায় জরায়ুমুখ ক্যানসার সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার শামিমা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস একটি যৌনবাহিত ভাইরাস। এই ভাইরাসের ১৩ ও ১৮ নম্বর সেলোটাইপ যৌনাঙ্গে ও জরায়ুমুখে ক্যানসার সৃষ্টি করে। নারীরা আক্রান্ত হলেও এটির বাহক মূলত পুরুষেরা। বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্ত বয়সে সন্তান ধারণ, বহু গর্ভধারণ, একাধিক যৌনসঙ্গী, ধূমপায়ী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধকারী বা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি, প্রজনন সম্পর্কে অসচেতন জনগোষ্ঠী এই ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই এই টিকা নিতে উৎসাহিত করতে হবে।’ সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন শাহ আলম সনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক:মোঃ খলিলুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
Copyright © 2025 দৈনিক সময়বেলা. All rights reserved.