শ্রীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর বন বিটের আওতাধীন উত্তর পেলাইদের মায়ারানি ভিটা,সাইটালিয়া ও তালতলী এলাকায় বন বিভাগের সরকারি জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ বসতবাড়ি উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন,যৌথ বাহিনী ও বন বিভাগ।গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) এই অভিযানে ৫ আগস্টের পর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানের পরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল)শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ এলাকার মায়ারাণী ভিটায় হামলার ঘটনা ঘটে। ফরেস্টার ও ফরেস্ট গার্ডদের উপর হামলা করতে না পারায় অভিযুক্তরা বন পাহারা সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন তেলিহাটি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মমতা।
আহত মমতা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, “আমি গরু চরাতে গেলে হঠাৎ করে হামলা চালায় সামসুল ইসলামের দুই ছেলে নূর আমিন ও নুরুজ্জামান, সামসুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া,নূর আমিনের স্ত্রী স্মৃতি, নূরুজ্জামানের স্ত্রী আছিয়া।মমতা বলেন সোমবার সকাল ১১টার দিকে তারা আমাকে একা পেয়ে মারধর করে আহত ও হুমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী মমতা দাবি করেন, হামলাকারীরা ধারণা করেন যে তিনি বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের সাথে জড়িত। “তারা বলে, আমি নাকি বন বিভাগ ডেকে তাদের বাড়িঘর উচ্ছেদ করিয়েছি। অথচ আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না আমি বন পাহারা দলের সদস্য মাত্র” বলেন মমতা।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের জমি দখল করে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করে অন্য এলাকার মানুষের কাছে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও তারা এলাকায় চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এরা শুধু বনের সম্পদ নয়, আমাদের জীবনকেও বিপদে ফেলছে। তারা বন বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে ও বন বিভাগের লোক আসলে তারা গালাগালি, সন্মান হানি ও মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। আমরা এই উস্কানী দাতা,ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই।”
ভুক্তভোগীদের দাবি, বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর ভূমিদস্যুরা সাধারণ বন সদস্যদের উপর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলছে, আমরা গার্ড,ফরেস্টারকেই মানিনা আর “তরা বনের সাধারণ সদস্য, তরা আমাদের কিছুই করতে পারবি না।”
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:মোঃ খলিলুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
Copyright © 2025 দৈনিক সময়বেলা. All rights reserved.