মুহসিন মিয়া শাহিন- (শ্রীপুর প্রতিনিধি)
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বর্তমান অগ্রহায়ণ মাসের শেষ, হেমন্তের শীতল আবহাওয়া বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ঋতুতে শীতকাল চলে এসেছে। শীতের বৈরী আবহাওয়া এবং কৃষকের নতুন ধান ঘরে তুলে পালন করা হয় নবান্ন বা পিঠাপুলির উৎসব। আর এই শীতকাল কে কেন্দ্র করে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয় হরেক রকমের পিঠা।
তেমনি গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন গিলাশ্বর গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে মোঃ আজিজ পিঠা বিক্রি করে চালাচ্ছে সংসার। আজিজের সাথে কথা বলে জানা যায় সকাল ৬:০০ থেকে ৮:০০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৪:০০ টা থেকে রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত বিক্রি করেন শীতের জনপ্রিয় চিতই পিঠা আর ভর্তা।
পিঠা বিক্রেতা মোঃ আজিজ বলেন, সকাল এবং বিকাল মিলিয়ে প্রতি দিন ১২ কেজি চাউলের পিঠা বিক্রি করা হয়। তিনি আরও বলেন, পিঠা বিক্রি করে প্রতি মাসে ইনকাম করেন ৫০ হাজার টাকা। পিঠা বিক্রির পাশাপাশি চালান অটোরিকশা, সব কিছু মিলিয়ে প্রতিমাসে ৫০/৫৫ হাজার টাকা ইনকাম করেন মোঃ আজিজ।
পিঠা বিক্রেতা মোঃ আজিজ আরো বলেন, শীতের সময় পিঠা খাওয়ার চাহিদা সবারই থাকে, তবে নানা ব্যাস্ততার কারণে পিঠা বানিয়ে খেতে পারে না , তার জন্যই মানুষ পিঠা কিনে খায়। প্রতি পিস পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করেন। তিনি আরও বলেন শীতের পিঠা বিক্রি করে মোটামুটি ভালো টাকা ইনকাম করেন। তিনি মনে করেন ঘরে বসে না থেকে এই শীতের মৌসুম কে কাজে লাগালে আর্থিক ভাবে উন্নতি এবং দারিদ্র মোচণ হবে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উদ্যোক্তা পরিবার-গাজীপুর এর প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ফয়সাল আহমাদ সাদেক বলেন, অটো চালানোর পাশাপাশি পিঠার এই শীত সিজনে মো: আজিজের পিঠা বিক্রির ব্যপারটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। বিভিন্ন পেশা বা চাকরির পর অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থান ও আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে আমরা সাংগঠনিকভাবেও মানুষ কে উৎসাহ ও দিক নির্দেশনা দিতে সব সময় কাজ করি। আমি মনে করি, বিভিন্ন পেশাজীবিরাও আজিজের মত সময় ও অবসরকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে আরো সাবলম্বী হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কোন বৈধ উপার্জনকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক:মোঃ খলিলুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
Copyright © 2025 দৈনিক সময়বেলা. All rights reserved.