মোঃ মনোয়ার হোসেন
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে হোটেল মালিক ও কর্মচারীসহ ২ জনকে পিটিয়ে আহত", হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটানায় পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের শালাইপুর বাজারে। থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে ও ২৪ নভেম্বর রবিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় শালাইপুর বাজারের ভাই বোন নামক একটি হোটেলে নাস্তা খেতে যায় মিজানুর রহমান সহ তার দলবল। এ সময় খাবার টেবিলে পানির গ্লাসে পানি ঢেলে না দেয়াকে কেন্দ্র করে হোটেল শ্রমিক আলেককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চর থাপ্পড় মেরে হোটেল থেকে বেরিয়ে যায় মিজানুর ও তার দলবল। পরবর্তীতে একই দিন রাত ৮টায় উল্লেখিত বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় হোটেলে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হোটেল ভাঙচুর করে ক্যাশে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা সহ ৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। হোটেলের কর্মচারী আলেক কে বেধরক মারপিট করে নাক কেটে গুরুতর আহত হয়। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলা মহিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৩০-৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। হোটেল মালিক হাফিজুল ইসলাম দেওয়ান। তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার উপর হামলা এবং হোটেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই? এব্যাপারে ১ নং বিবাদী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে না পাওয়ায় ২নং বিবাদী রবিউল ইসলামের সাথে দেখা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না, আমাকে চক্রান্তমূলক ভাবে আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে।তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। ১০ নং বিবাদী বাবু বলেন আমি হোটেলে যখন গোন্ডগোল হয় আমি আরো থামাতে গেছি অথচ আমার নামে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ কাওসার আলী বলেন, হোটেল ভাঙচুর বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসার কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:মোঃ খলিলুর রহমান নির্বাহী সম্পাদক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
Copyright © 2025 দৈনিক সময়বেলা. All rights reserved.